আহলে কোরআন ফিতনা। আহলে কোরান যে বাতিল ১০টি আয়াত ও অসংখ্য হাদিসের দলিল । আব্বাসী । তাজ হাশমী। আবু সাঈদ খান
জিলকদ মাসের ১ম জুমা ১৪৪৪ হিজরী
আহলে কোরআন ফিতনা। আহলে কোরান যে বাতিল
১০টি আয়াত ও অসংখ্য হাদিসের দলিল
কোরআন থাকা অবস্থায় হাদীস মানার প্রয়োজন কি?
হাদীস মান্য করার গুরুত্বহাদীস অমান্য করলে কি কি ক্ষতি ও বিপদ হতে পারে?
ইদানিং একটি দল মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে যারা হাদিস অস্বিকার করে, বলে কোরআন থাকতে হাদিসের প্রয়োজন নাই, আমাদেরও
জানা দরকার হাদীস মানার ব্যপারে আল্লাহ তায়ালা কোন নিষেধাজ্ঞা করেছেন কিনা?
অথবা হাদিস মানার ব্যপারে কোরআনে কোন নির্দেশনা আছে কিনা?
আমরা যদি কোরআন ভালো করে পড়ি তাতে অসংখ্য আয়াত আছে যাতে হাদীস মানার ব্যপারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে আমি আজ সে সব আয়াত থেকে কয়েকটি আয়াত আপনাদেরকে পাঠ করে শুনাব
হাদীস কতপ্রকার?
হাদীস ৩ ধরনের (১)
কওলি হাদিস নবীর বাণী (২) হাদিসে ফেলি নবীর কাজ (৩) হাদীসে
তাকরিরি যাতে নবীজির সম্মতি আছে – এখন নবীজির হাদীস ছাড়া ইসলামী
শরীয়ত পালন করা একজন মুসলমান মুসলমান হিসেবে জীবন যাপন করা অসম্ভব, কারন কুরআনে এমন অনেক বিষয় আছে যা হাদীস ছাড়া বুঝা অসম্ভব, যেমন কুরআনে নামাজ কায়েম করার কথা আছে এখন নামাজ কিবাভে কায়েম করবেন?
তার জন্য হাদীসের দিকে নবীজির আমল তথা হাদীসে ফেলি অনুসরণ করতে হবে না
হয় কেহ নামাজ পড়তে পারবেনা।
কোরআনে কিভাবে আল্লাহ তায়ালা হাদীস মান্য করার নির্দেশ দিয়েছেন?
১) সুরা
নিসা ৫৯,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَطِيعُواْ
اللّهَ وَأَطِيعُواْ الرَّسُولَ
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ
মান্য কর রসূলের [সুরা নিসা - ৪:৫৯]
২) সুরা নিসা ৬৫
فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّىَ
يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لاَ يَجِدُواْ فِي أَنفُسِهِمْ
حَرَجًا مِّمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُواْ تَسْلِيمًا
অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট
বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে ন্যায়বিচারক বলে মনে না করে। অতঃপর তোমার মীমাংসার
ব্যাপারে নিজের মনে কোন রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা হূষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।
[সুরা নিসা - ৪:৬৫]
৩)সুরা নিসার ৬৯ নং আয়াত
وَمَن يُطِعِ اللّهَ وَالرَّسُولَ فَأُوْلَـئِكَ مَعَ الَّذِينَ
أَنْعَمَ اللّهُ عَلَيْهِم مِّنَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاء
وَالصَّالِحِينَ وَحَسُنَ أُولَـئِكَ رَفِيقًا
আর যে কেউ আল্লাহ এবং রসূলের আনুগত্য করবে, (শেষ
বিচারের দিন) সে তাদের সঙ্গী হবে, যাদের প্রতি আল্লাহ
অনুগ্রহ করেছেন; অর্থাৎ নবী, সিদ্দীক
(নবীর সহচর), শহীদ ও সৎকর্মশীলগণ। আর সঙ্গী হিসাবে এরা অতি
উত্তম। [সুরা নিসা - ৪:৬৯]
৪) সুরা
নিসার ৮০ নং আয়াত
এ আয়াত একজন ছোট শিশুও বুঝতে পারবে যে এ আয়াত দিয়ে নবীর হাদীসকে
মান্য করার নির্দেশ সুস্পষ্ট।
مَّنْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللّهَ وَمَن تَوَلَّى
فَمَا أَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا
যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক
বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ),
তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি। [সুরা নিসা - ৪:৮০]
৫) সুরা আহযাব এর ২১ নং আয়াত
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيراً
যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে। [সুরা
আহযাব - ৩৩:২১]
# আল্লাহ তায়ালা বলছেন নবীর চলাফেরা, কথাবর্তা, জীবন যাপন, এসব কিছুর মধ্যে তোমাদের জন্য উত্তম নমুনা। এখন যদি হাদীস না মানি তাহলে নবীর জীবন যাপনের মধ্যে যে আল্লাহ আমাদের জন্য উত্তম নমুনা ঘোষনা করেছেন তা কোথায় পাব? নবীর জীবনী নবীর সিরত অনুসরণ করতে হলে আমাদেরকে হাদিসকে অনুসরণ করতে হবে, সুন্নাতকে অনুসরন করতে হলে আমাদেরকে হাদীস অনুসরণ করতে হবে না হয় সুরা আহযাবের ২১ নং আয়াতের উপর আমল করা সম্ভব নয়।
৬) সুরা আহযাব এর ৭১ নং আয়াত
يُصْلِحْ لَكُمْ أَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ
وَمَن يُطِعْ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيمًا
যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করে, সে
অবশ্যই মহা সাফল্য অর্জন করবে। [সুরা আহযাব - ৩৩:৭১]
৭) সুরা নজম ৩,৪ নং আয়াত
وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَى
(নবী) মনগড়া কোন কথা বলেনা [সুরা নাজম - ৫৩:৩]
إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى
যা বের হয় তাতো কেবল ওহী, যা প্রত্যাদেশ
হয়। [সুরা নাজম - ৫৩:৪]
# নবীজি হাসি ঠাট্টার সময়ও সত্য ছাড়া বলেন না, রাগ আবেগ এর সময়ও তিনি বাস্তবের বিপরীত কোন কথা বলেন না, নবীর সকল কথাই মুলত ওহি দ্বারা নিয়ন্ত্রীত
# নবীজির বাণী নবীজির হাদীসও এক প্রকার ওহি,
যা সরাসরি জিবরাইল মারফত এসেছে সেটাকে হলে অহিয়ে জলি প্রকাশ্য ওহি যা
বতমানে কুরআন হিসেবে লিপিবদ্ধ আছে আর যা নবীজির বানী নবীজির কাজ হাদীস হিসেবে আমাদের
সামনে আছে তা হল অহিয়ে খফি
৮) সুরা জুময়ার ২ নং আয়াত
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ
يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ
وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল
ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত। [সুরা জুম’য়া - ৬২:২]
# এ আয়াতে নবীর কাজ কি কি বয়ান করছেন নবীর কাজ হল (১) তিনি আয়াত সমুহ পাঠ করবেন (২) আমাদেরকে পবিত্র করবেন (৩) আমাদেরকে কিতাব শিক্ষা দিবেন (৪) হিকমত তথা জ্ঞান বিজ্ঞোনের কথা শিক্ষা দিবেন আর এই হিকমত পূর্ণ কথাসমুহ হল নবীজির হাদিস যা আমাদের কাছে ধারাবাহিক ভাবে পৌঁছেছে। অতএব যারা কোরআন মানে হাদীস মানতে চাই না তারা মূলত কোরআনকেই অস্বীকার করে। নবীকে অস্বীকার করে, সাহাবায়ে কেরামকে সমস্ত আউলিয়া ইমাম ফোকাহা, বুযুর্গানে দ্বীনকে অস্বীকার করে।
৯) সুরা আল ইমরান ৩১
قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ ٱللَّهَ فَٱتَّبِعُونِى
يُحْبِبْكُمُ ٱللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَٱللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
অর্থঃ (হে নবী) বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে
আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং
তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।
এখন নবীর অনুসরণ করতে হলে হাদীস লাগবে, হাদীস ছাড়া নবীর অনুসরণ করা অসম্ভব।
নবীর প্রতি ভালোবাসা হল ঈমানের পূর্বশর্ত
সাহাবীদের নবী প্রেমের নমুনার উদাহারণ- হযরত খোবায়ব ও আসিম ও বদরে নিহত হারিস এর ঘটনা
বুখারী শরীফের ৩০৪৫ নং হাদিস
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশ ব্যক্তিকে গোয়েন্দা হিসেবে
সংবাদ সংগ্রহের জন্য পাঠালেন এবং আসিম ইবনু সাবিত আনসারীকে তাঁদের দলপতি নিয়োগ করেন।
মক্কার কাফেরের ২০০ জন তিরন্দাজ পায়ের চিহ্ন ও মদীনার খেজুর দেখে সে মোতাবেক ফলো
করে মুসলমানদেরকে ধরে ফেলল মুসলমানরা পাহাড়ের চুড়ায় উঠে যায় সে তিরন্দাজরা তির
মারত মারতে ৭ জনকে শহিদ করে দেয়, ৩ জন বেঁচে ছিল তাদেরকে বন্ধী করে তার মধ্যে হযরত
খোবায়ব (রা) ছিলেন, হযরত খোবায়ব (রা) বদরের যুদ্ধে মক্কার কাফের হারিস কে হত্যা করেছিল, সে জন্য হারিসের সন্তানেরা
খোবায়েবকে কিনে নেয় হত্যার বদলা নেয়ার জন্য, তারা খোবায়েবকে হত্যা করার জন্য কিনে
বন্ধী করে রাখে। যখন দিন তারখ ঠিক হল তখন হযরত খোবায়েব অবাঞ্চিত লোম পরিস্কারের
জন্য হারিস এর মেয়ের কাছ থেকে ১টি খুর নেন, হারিস এর মেয়ে
পরবর্তীতে মুসলমান হয়েছিল তখন তিনি এই কথাগুলি বণনা করেন, তিনি বলেন খুর নেয়ার পর
আমি দেখলাম আমার ছোট বাচ্চাটি খোবায়েব এর কোলে, আমি ভয় পেলাম আমার চেহেরায় ভয় দেখে
খোবায়েব বলল তুমি ভয় পাচ্ছ, ভয় পেয় না আমি তার কোন ক্ষতি করবনা, মুসলমানরা মানুষের
দৃবর্ললতার সুযোগ নেয়না, সুবহানাল্লাহ হারেস এর মেয়ে বলে আমি আমার জীবনে বন্ধীদের
মধ্যে খোবায়েব এর মত আর কাউকে দেখিনি কারন আমি তার বন্ধী অবস্থায় তার হাতে বে
মওসুমি ফল দেখতাম যা মক্কায় ছিলনা এমন ফল খেতে দেখতাম, সুবহানাল্লাহ যা তাকে
আল্লাহ খাওয়াতেন।
আমার ভায়েরা তাকে কোন খাবারই দিতনা, কিন্তু আল্লাহ তাকে
খাওয়াতেন। যখন খোবায়েবকে মারার জন্য শুলে চড়ানো হবে তার আগে তার শেষ ইচ্ছা কি
জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাকে ২ রাকাত নামাজ পড়তে দিন, তিনি কম সময়ে ২ রাকাত নামাজ
পড়লেন আর বললেন আমি নামাজে এত মজা পাচ্ছিলাম কিন্তু যদি নামাজ দিঘ করি তোমরা
কাফেরেরা বলবে আমি জীবনের মায়ায় একটু লম্বা নামাজ পড়ছি সে ভয়ে আমি তাড়াতাড়ি নামাজ
শেষ করি,
সেদিন থেকে মৃত্যু দন্ডের আগে ২ রাকাত নামাজ পড়া খোবায়েব এর
সুন্নত সুবহানাল্লাহ।
একজন খোবায়েব কে জিজ্ঞেস করল এখন যদি তোমাকে ছেড়ে দিয়ে
তোমার স্থানে মুহাম্মদকে হত্যা করি তাতে তুমি রাজি হবে? খোবায়েব বললেন – আমি ও আমার পরিবারের সকলেই জান কোরবান
করে দিব তবুও মুহাম্মদ (দ) এর শরীরে আমরা ১টি কাটার আচরও লাগতে দিবনা।
সুবহানাল্লাহ
এরপর ফাঁসির মঞ্চে ঝুলন্ত খুবাইব (রাঃ)-এর উপর তারা ছুড়ে
মারে তীর বর্ষা ও খঞ্জর। ফলে হযরত খুবাইর (রাঃ) কালেমা শাহাদাত পড়তে পড়তে
শাহাদাতের অমীয় পেয়ালা পান করলেন।
#হযরত খোবায়েব (রা) কে মক্কা থেকে ৭ মাইল দুরে মসজিদে আয়শার পাশের এলাকায়
শহিদ করা হয়েছিল
#কিবলামুখি: মৃত্যুর পর খুবাইব (রা.)-এর চেহারা কুদরতিভাবে কিবলামুখী
হয়ে গেল। কাফিররা কিবলা থেকে ফিরিয়ে দিতে চাইল। একবার নয়; বহুবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলো।
খোবায়েব এর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার অভিযান (মিকদাদ ও জুবায়ের)
কাফিররা খুবাইব (রা.)-কে হত্যা করার পর ফাঁসিকাষ্ঠেই ঝুলিয়ে রাখল; নিচে নামাল না। পাহারাদারির জন্য নিযুক্ত করল ৪০ জন লোক।
তাদের সবাই ছিল বখাটে; নেশাগ্রস্ত। তারা লাশটি ঘিরে পাহারা দিচ্ছিল।
এদিকে রাসুল (সা.) জানতে পারলেন খুবাইব (রা.) ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলন্ত অবস্থায় আছেন।
আল্লাহর রাসুল দয়াল নবী শুনে আর স্থির থাকতে পারলেননে হযরত খোবায়েব এর লাশটি
উদ্ধার করার জন্য রাসুল (সা.) মিকদাদ ইবনে আমর (রা.)
ও জুবাইর ইবনে আউওয়াম (রা.)-কে পাঠালেন। তাঁরা ‘তানঈম’-এ এসে দেখলেন ৪০ জন
নেশাগ্রস্ত লোক খুবাইবের লাশটি পাহারা দিচ্ছে। তাঁরা সুকৌশলে লাশটি নামালেন। তখনো
তাঁর লাশটি সম্পূর্ণ তরতাজা। জুবাইর (রা.) নিজের বাহনের ওপর খুবাইবের লাশটি ওঠালেন। এরই
মধ্যে পাহারাদাররা টের পেয়ে তাঁকে ধাওয়া শুরু করল। বেগতিক অবস্থায় জুবাইর (রা.)
লাশটি ফেলে দিলেন। সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর ভূমি খুবাইব (রা.)-এর লাশটি গিলে ফেলল। এ
কারণে খুবাইব (রা.)-কে বলা হয় ‘বালিউল আরদ’ অর্থাৎ মাটি যাঁকে গিলে ফেলেছে।
শহিদদের বডিও আল্লাহর কাছে দামী (আসিম ইবনু সাবিত
মৌমাছি)
মুমিনের জান যেমন আল্লাহর কাছে দামী, যারা আল্লাহর রাস্তায়
শহিদ হয় তাদের বডিও আল্লাহর কাছে দামি
বুখারীর ৩০৪৫ নং হাদিস
যে ১০ জন মুসলিম গোয়েন্দা মক্কায় গিয়েছিল তাদের মধ্যে যিনি
দলপতি হযরত আসিম ইবনু সাবিত শহিদ হওয়ার কথা শুনে
মক্কার এক কাফের নেতার পরিবারের লোক যে নেতাকে বদরে হযরত আসিম ইবনু সাবিত হত্যা
করেছিল তার শরীরের অঙ্গ বা মাথা আনার জন্য গেল, কিন্তু আসিমের লাশের (রক্ষার জন্য)
মৌমাছির ঝাঁক প্রেরিত হল যারা তাঁর দেহ আবৃত করে রেখে তাদের ষড়যন্ত্র হতে হিফাযত করল।
ফলে তারা তাঁর শরীর হতে এক খন্ড গোশ্তও কেটে নিতে পারেনি।
হযরত খোবায়েব এর বদদোয়া ও হযরত সাঈদ বিন আমের জুহানির ইসলাম গ্রহণ
হযরত খোবায়েবকে যখন উল্লাস করে কাফেরেরা হত্যা করছিল সে
ভীরে অনেকে তামাশা দেখছিল, খোবায়েব (রা) তখন বদদোয়া
করেছিলেন
اللَّهُمَّ أَحْصِهِمْ عَدَدًا
তাদেরকে এক এক করে ধ্বংস করুন।’
এই ঘটনা ও খোবায়েব এর বদদোয়া
শুনে হযরত সাঈদ বিন আমের জুহানি ইসলাম গ্রহণ করেন, হযরত ওমর (রা)
তার যুগে তাকে হিমসের গভনর নিযুক্ত করেন, জনগন
অভিযোগ করেন হযরত সাঈদ মাঝে মাঝে বেহুশ হয়ে যান, এর কারন কি
ওমর জানতে চাইলে হযরত সাঈদ বলেন যেদিন হযরত খোবায়েবকে আমার এলাকার লোকেরা হত্যা
করছিল জনগনের ভিড়ে তামাশা দেখার মধ্যে আমিও ছিলাম, আমি
খোবায়বকে কোন সাহায্য করিনাই, সে কথা মনে পড়ে আমি বেহুশ হয়ে
যাই, আমার মনে হয় আল্লাহ আমাকে মাফ করবেননা এবং এজন্য আতংকিত
হয়ে পড়ি’’।
** সাহাবীরা নবীর প্রতি এত বেশী অনুগত ছিলেন বলে আল্লাহ তায়ালা তাদের লাশকেও হেফাজত করেছেন, আর নবীজি ঘোষানা দেন (খাইরুল কুরুনি কারন) ছুম্মাল্লাজি এয়ালুনাহুম সুম্মাল্লাজিনা এয়ালুনাহুম)
যারা হাদীস অস্বীকার করেন তাদের ব্যপারে নবীজির ভবিষ্যৎবাণী
সুনানে ইবনু মাজার ১২ নং হাদিস
عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ
الْكِنْدِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ
আল-মিক্বদাম ইবনু
মাদীকারিব আল-কিনদী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেনঃ
قَالَ " يُوشِكُ الرَّجُلُ مُتَّكِئًا
عَلَى أَرِيكَتِهِ يُحَدَّثُ بِحَدِيثٍ مِنْ حَدِيثِي فَيَقُولُ
অচিরেই কোন
ব্যাক্তি তার আসনে হেলান দেয়া অবস্থায় বসে থাকবে এবং তার সামনে আমার হাদীস থেকে
বর্ণনা করা হবে, তখন সে বলবে,
بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ كِتَابُ اللَّهِ عَزَّ
وَجَلَّ فَمَا وَجَدْنَا فِيهِ مِنْ حَلاَلٍ اسْتَحْلَلْنَاهُ وَمَا وَجَدْنَا
فِيهِ مِنْ حَرَامٍ حَرَّمْنَاهُ
আমাদের ও তোমাদের মাঝে মহামহিম আল্লাহ্র কিতাবই যথেষ্ট। আমরা তাতে যা হালাল
পাবো তাকেই হালাল মানবো এবং তাতে যা হারাম পাবো তাকেই হারাম মানবো।
. أَلاَ وَإِنَّ مَا
حَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ مِثْلُ مَا حَرَّمَ اللَّهُ
(মহানবী (সাঃ) বলেন) সাবধান! নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা হারাম করেছেন তা আল্লাহ যা হারাম করেছেন তার অনুরূপ।
নবীর মুখ থেকে যা বের হত তাই শরীয়ত
# হযরত আলী হতে বর্ণিত একজন জিজ্ঞাসা করল হজ্ব কি প্রতি বছর ফরয?
নবীজি বললেন যদি আমি এখন হ্যাঁ বলতাম তাহলে তা প্রতি বছর ফরয হয়ে যেত
# রমজানের রোজার কাফফারা কুরআনে আছে গোলাম আযাব করা, ২ মাস রোজা রাখা, ৬০ জন মিসকিনকে ২ বেলা খাওয়ানো
কিন্তু বুখারীর ১৩৩৭ নং হাদিস
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কাফফারা আদায়ের অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে
গেছেন। একদা রমজানে এক সাহাবি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আমি নিজেকে
ধ্বংস করে ফেলেছি, আমি রোজা পালন অবস্থায় স্ত্রী-সহবাস করে
ফেলেছি।’ নবীজি (সা.) তাঁকে বললেন, ‘তুমি
একজন দাস মুক্ত করে দাও।’ সে বলল, ‘এমন
সামর্থ্য আমার নেই।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তবে এর বদলে দুই মাস তথা ৬০ দিন রোজা রাখো।’ লোকটি
বলল, ‘হে আল্লাহর নবী (সা.)! এমন শারীরিক সক্ষমতা আমার নেই।’
তখন রসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তবে তুমি ৬০ জন
মিসকিনকে দুই বেলা আহার করাবে।’ লোকটি বলল, ‘হে আল্লাহর পয়গম্বর (সা.)! এ রকম আর্থিক সংগতিও আমার নেই।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে অপেক্ষা করতে বললেন। এর কিছুক্ষণ পর একজন
সাহাবি রাসুল (সা.)-কে এক ঝুড়ি খেজুর হাদিয়া দিলেন। তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) ওই লোককে
বললেন, ‘এগুলো নিয়ে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করে দাও।’ লোকটি বলল, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা.) এ এলাকায় আমার
চেয়ে গরিব আর কে আছে?’ এ কথা শুনে রাসুল (সা.) স্বাভাবিকের
চেয়ে একটু বেশি হাসলেন, যাতে তাঁর দাঁত প্রকাশিত হলো। তিনি
(সা.) বললেন, ‘আচ্ছা! তবে খেজুরগুলো তুমিই তোমার পরিবার নিয়ে
খাও।’ (বুখারি, হাদিস: ১৩৩৭, মুসলিম, হাদিস: ১১১১)। সুবহানাল্লাহ!
এখানে দেখা যাচ্ছে নবী করিম (দ) সে সাহাবীকে কোরআনের হকুমের বাইরে এসে খেজুর
দিয়ে কাফফারা আদায় করতে বললেন এবং শেষ পর্যন্ত সে খেজুর নিজেকে খেতে বলেছেন, এটা
ছিল নবীজীর এখতেয়ার। নবীকে আল্লাহ তায়ালা সে ক্ষমতা দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ
নবী কি হারাম করেছেন? (গাধা/কুকুর)
গাধা হারাম করেছেন, কুকুরের গোস্ত হারাম করেছেন এখন যারা হাদীস মানে না
তাদেরকে গাধার গোস্ত কুকুরের গোস্ত দিয়ে মেহমানদারী করতে পারেন কারন কোরআনের
কোথাও গাধা, কুকুর হারাম হওয়ার কথা নাই।
যেমন ইবনে মাজার ৩১৯৩ নং হাদিস
أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ
حَرَّمَ أَشْيَاءَ حَتَّى ذَكَرَ الْحُمُرَ الإِنْسِيَّةَ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতগুলো জিনিস হারাম ঘোষণা করেন, তার মধ্যে গৃহপালিত গাধার কথাও
উল্লেখ করেন।
ইসলামের
দৃষ্টিতে কুকুরের ক্ষতি সমুহ
১) কুকুরের গোস্ত খাওয়া প্রত্যেক
ধর্মেই হারাম
২) শখ করে কুকুর পালন করলে কি ক্ষতি হয় জানেন?
মুসলিম শরীফের ১৫৭৫ নং হাদিস-
" مَنِ اقْتَنَى
كَلْبًا لَيْسَ بِكَلْبِ صَيْدٍ وَلاَ مَاشِيَةٍ وَلاَ أَرْضٍ فَإِنَّهُ يَنْقُصُ
مِنْ أَجْرِهِ قِيرَاطَانِ كُلَّ يَوْمٍ "
মুসলিম শরীফের ১৫৭৫
নং হাদিস-
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, শিকার কিংবা জীবজন্তু পাহারার
প্রয়োজন ছাড়া যে ব্যক্তি কুকুর পালন করে, প্রতিদিন তার
সাওয়াব থেকে দু’কীরাত করে কমতে থাকে।
অন্য হাদিসে আছে, ‘এক
কিরাত হলো, উহুদ পাহাড় সমপরিমাণ।’ (মুসনাদে
আহমদ : হা. ৪৬৫০)
৩) শখ করে ঘরে কুকুর রাখা নিষিদ্ধ বুখারী শরীফের ৫৫২৫ নং হাদিস ‘যে ঘরে কুকুর আছে, সে ঘরে রহমতের ফেরেশতারা প্রবেশ করেন না।
৪) কুকুরের মধ্যে শয়তানের প্রভাব বেশী তাই কুকুর আযানের সময় চিৎকার করে
৫) কুকুরের নখ ও মুখে বিষাক্ত জীবানু আছে তাই কুকুর কামড় দিলে জলাতংক রোগ হয়
৬) কুকুরের লালা নাপাক যদি কুকুর কোন পাত্রে মুখ দেয় তা ৩ বার ৭ বার ধৌত করার
নির্দেশ আছে
এখন আমাদের জন্য ফরয হল নবীজি যা হারাম করেছে তা সেভাবে হারাম মান্য করা যেভাবে
কোরআনে আল্লাহ হারাম করেছেন যদি তা না করি আমরা পথভ্রষ্ট হয়ে যাব যা আল্লাহ তায়ালা
সুরা আহযাবের ৩৬ নং আয়াতে এরশাদ করে
وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ إِذَا
قَضَى اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَن يَكُونَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ
أَمْرِهِمْ وَمَن يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا مُّبِينًا
আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে
বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর
রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট তায় পতিত হয়। [সুরা আহযাব - ৩৩:৩৬]
হাদীস
অমান্যকারীরা মাছ খেতে পারবেনা
আল্লাহ তায়ালা কুরআনের সুরা মায়েদার ৩ নং আয়াতে মৃত প্রাণী খাওয়া হারাম
করেছেন,এখন যারা হাদীস অমান্য করেন তারা কিন্তু মৃত মাছও খেতে পারবেনা, যদি মাছ
খেতে হয় তাদেরকে হাদিসের অনুসরণ করতে হবে।
হাদীস অমান্যকারীরা চুরের শাস্তি দিতে পারবেনা
وَالسَّارِقُ وَالسَّارِقَةُ فَاقْطَعُواْ
أَيْدِيَهُمَا جَزَاء بِمَا كَسَبَا نَكَالاً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَزِيزٌ
حَكِيمٌ
যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে তাদের হাত কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের
সাজা হিসেবে। আল্লাহর পক্ষ থেকে হুশিয়ারী। আল্লাহ পরাক্রান্ত, জ্ঞানময়। [সুরা মায়েদা - ৫:৩৮]
ইসলামে চুরির শাস্তি
হিসেবে কোরআনে বর্ণিত আছে, চোর
নারী হোক বা পুরুষ, তার
হাত কেটে দাও। এই আয়াতে কোথাও বলা নেই, কতটুকু চুরি
করলে এই আইনটি প্রযোজ্য হবে। যেমন ধরুন, আম গাছ থেকে কেউ
একটি আম চুরি করলে, বা একটুকরো রুটি কেউ চুরি করলে, তার এই কৃতকর্মের জন্য কোরআনের এই আয়াত অনুসারে তার হাত কেটে দিতে হবে।
কিন্তু হাদিসে আবার বলে দেয়া হয়েছে, কতটুকু চুরি করলে এই
আইনটি প্রযোজ্য হবে। কোরআনে এটিও বলা নেই, এই আইনটি
অপ্রাপ্তবয়ষ্ক ছেলেমেয়ে বা মানসিক ভারসাম্যহীনদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এর অর্থ
হচ্ছে, হাদিস বাদ দিলে এই আয়াত আইন হিসেবে কার্যকর করা এক
মহা বিপর্যয় সৃষ্টি করবে
বিদায়
হজ্বে নবীর ভাষনেও হাদীসের গুরুত্ব ফুটে উঠেছে
ইবনে আব্বাস (রাঃ) প্রমুখাৎ বর্ণিত, বিদায়ী হজ্জে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
লোকেদের মাঝে খোতবা (ভাষণ) দিলেন। তাতে তিনি বললেন,
،
فَاحْذَرُوا يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي قَدْ تَرَكْتُ فِيكُمْ مَا إِنِ
اعْتَصَمْتُمْ بِهِ فَلَنْ تَضِلُّوا أَبَدًا كِتَابَ اللَّهِ وَسُنَّةَ نَبِيِّهِ
তোমরা সতর্ক থেকো! অবশ্যই আমি তোমাদের মাঝে এমন জিনিস ছেড়ে
যাচ্ছি; যদি তা দৃঢ়তার সাথে ধারণ করে থাকো তবে কখনই তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না; আর
তা হল আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর নবীর সুন্নাহ (কুরআন ও হাদীস)
হাদীস মুখস্থ
করতে উৎসাহ
বুখারীর ১২০ নং হাদিস আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আমি আপনার কাছ থেকে বহু হাদীস শুনি কিন্তু ভুলে
যাই। তিনি বলবেন তোমার চাঁদর খুলে ধর। আমি খুলে ধরলাম। তিনি দু’হাত অঞ্জলী করে তাতে কিছু ঢেলে দেওয়ার মত করে বললেনঃ এটা তোমার বুকের
সাথে লাগিয়ে ধর। আমি তা বুকের সাথে লাগালাম। এরপর আমি
আর কিছুই ভুলিনি।
যদি হাদীস বলা হাদীস বননা করা হাদীস অনুসরন করা নিষিদ্ধ হত নবীজি আবু হুরায়রার
জন্য দোয়াও করতেন না আবু হুরায়রাও হাদীস মুখস্থ রাখার জন্য এত চেষ্টা প্রচেষ্টা
করতেন না।
নবীর যুগেও হাদীস সংকলনের কিতাব ছিল
১) সহিফাতুস সাদেকা- জমা করেছেন আবদুল্লাহ ইবনে আমর বিন আস (রা)
২) সহিফাতু আলী- জমা করেছেন হযরত আলী (রা)
৩) কিতাবুস সাদাকা- নবীজি স্বয়ং জাকাতের সদকার বিধান লিপিবদ্ধ করিয়েছিলেন
৪) সুহুফু আনাস ইবনে মালেক কয়েক
হাজার হাদীস এই সহিফাতে ছিল
৫) সহিফায়ে আমর ইবনু হাজাম
৬) সহিফা ইবনে আব্বাস
৭) সহিফায়ে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ
৮) সহিফায়ে জাবের ইবনে আবদুল্লাহ
৯) সহিফায়ে সামুরা ইবনে জুনদুব
১০) সহিফায়ে আবু হুরায়রা
সারসংক্ষেপ
আজকের আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম
১) কোরআন হল পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান আর হাদীস হল কোরআনের ব্যাখ্যা
২) হাদীস বা সুন্নাহ ছাড়া কোরআন বুঝা কোরআন মোতাবেক আমল করা অসম্ভব
৩) স্বয়ং আল্লাহ কোরআনের অসংখ্য স্থানে হাদীস তথা নবীজির আদর্শকে অনুসরণ করার নির্দশ দিয়েছেন যেমন আমি ১০টি আয়াত কোড করেছি
সুরা নিসার ৫৯,
৬৫, ৬৯ ও ৮০ নং আয়াত
সুরা আহযাবের ২১ ও ৭১ নং আয়াত
সুরা নজম এর ৩ ও ৪ নং আয়াত
সুরা জুমআর ২ নং আয়াত
সুর আল ইমরানের ৩১ নং আয়াত
৪) নবীজির প্রতিটি কথা কাজই মূলত ওহি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যা সুরা নজম এর ৩ ও ৪ নং আয়াতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে
৫) নবীর প্রতি ভালবাসা ও আনগত্যে সাহাবীগন ছিল সেরা, তাই তাদের যুগও ছিল সেরা
৬) আর নবীর প্রতি ভালবেসে জীবন দেয়া হযরত খোবায়ব (রা) এর লাশের মাথার খুলিতে কাফেরেরা মদ পান করতে চেয়েছেন আর আল্লাহ মাটিকে হকুম দিলেন তার লাশকে গিলে ফেলতে ফলে কাফেরেরা হযরত খোবায়েব এর লাশের সাথে অসম্মানি করতে পারেনি
৭) তেমনি ভাবে সে ঘটনায় যিনি নেতা ছিলেন হযরত আসিম বিন সাবিত এর লাশকে মৌমাছি দিয়ে হেফাজত করেছেন সুবহানাল্লাহ এ সবই ছিল নবীর আনুগত্য নবীর প্রতি ভালবাসার ফলে
৮) যারা হাদীস অস্বীকার কারী তাদের ব্যপারে প্রিয় নবী ভবিষ্যৎবাণী করেছেন তাদের ব্যপারে সতক করেছেন এবং ইবনে মাজার ১২ নং হাদিস দ্বারা বুঝা যায় আল্লাহ তায়ালা যেমন কোন কিছু হারাম করেন তেমনি নবী করিম (দ) ও কিছু কিছু জিনিষ হারাম করেন,
যা প্রত্যেক উম্মতের জন্য মান্য করা ফরয।
৯) নবীজির মুখ থেকে যা বের হয় তাই শরীয়ত, যেমন হজ প্রত্যেক বছর করতে হবে কিনা প্রম্নের উত্তরে নবীজি বলেন যদি আমি হ্যা বলতাম তাহলে তা প্রত্যেক বছর ফরয হয়ে যেত
তেমনি রোজা ভঙ্গের কাফফারার ব্যপারে এক সাহাবীকে নবীজিকে নিজ থেকে কাফফারার বিধান দিলেন যা দ্বারা বুঝা যায় নবীকে আল্লাহ তায়ালা ক্ষেত্র বিশেষে কোরআনের বিধানের বাইরে হকুম দেয়ার অনুমতি দিয়েছেন
১০) তেমনি কোরআনে কুকুর গাধা হারাম নয় কিন্তু নবীজি এসব হারাম করেছেন তাই যারা হাদীস অমান্য করবে শুধু কুরআন মান্য করবে তাদের মতে কুকুরের গোস্ত গাধার গোস্ত খাওয়া হালাল
১১) তেমনি ভাবে কোরআনে মৃত প্রাণী হারাম সুতরাং যারা হাদীস অমান্য করে তারা মৃত মাছও খেতে পারবেনা, কারন মৃত মাছ খাওয়ার জায়েজ এর বিধান আছে হাদীসে
১২) হাদীস অস্বীকারকারীরা চোরের শাস্তিও দিতে পারবেনা, কারন কতটাকা চুরি করলে শাস্তি দেয়া যাতে তা কোরআনে নাই।
এভাবেই প্রতিটি পদে পদে হাদীস অস্বীকারকারীদের জন্য বিপদ, আর এ বিপদ এই ফিতনায় আমাদেরকেও বাঁচতে হবে আমাদের পরবর্তী জেনারেশনকে সতর্ক করতে হবে যেভাবে প্রিয় নবীজি সতক করে গেছেন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে এই ধরনের নতুন নতুন ফিতনা সমুহ থেকে বেঁচে থেকে ঈমানের সাথে নবীজির আনুগত্যের মাধ্যমে কোরআন ও সুন্নাহকে আকঁড়ে ধরার মাধ্যমে জীবন যাপন করার তৌফিক দান করুন আমিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল https://www.youtube.com/@Allahwalamedia https://www.youtube.com/@Allbangladua https://www.youtube.com/@Jaalhaq আমাদের ফেসবুক পেজ
https://www.facebook.com/Jaalhaqbd
https://www.facebook.com/karamatbd
https://www.facebook.com/AllBanglaDua
আমাদের ফেসবুক গ্রুপ
ইনস্টাগ্রাম https://www.instagram.com/jaalhaq.bd/ আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন
কোন মন্তব্য নেই