আল্লাহর ৯টি হাসি। যে বান্দাকে দেখে আল্লাহ হাসেন।
আল্লাহর ৯টি হাসি। যে বান্দাকে দেখে আল্লাহ হাসেন।
যে ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে আল্লাহ হাসেন...
আমাদের আল্লাহ হাসেন এ ব্যপারে হাদীস শরীফে ৯ জায়গায় আল্লাহর হাসির বননা পাওয়া যায় তবে এই হাসির মধ্যে ৮ প্রকারের হাসি বান্দার জন্য কাম্য ১ প্রকার হাসি কাম্য নয়
ঈমাম আহমেদ তাঁর মুসনাদে আহমেদ এ বলেন, ''আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন, যখন আমাদের রব কাউকে এ দুনিয়ার জীবনে দেখে হাসবেন। তার বিচার দিবসে কোন হিসেব দিতে হবে না, বিনা হিসেবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
১) আল্লাহর যে হাসি বান্দার জন্য কাম্য নয়- যে হাসি অর্জন না করে বর্জন করা উচিত
আল্লাহর যে হাসি বান্দার জন্য কাম্য নয় তা হল ইবনে মাজার ১৮১ নং হাদিস
আবূ রযীন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
ضَحِكَ رَبُّنَا مِنْ قُنُوطِ عِبَادِهِ وَقُرْبِ غِيَرِهِ "
যখন আল্লাহ্র বান্দারা (সামান্য বিপদেই) হতাশ হয় এবং (বিপদ কেটে উঠার জন্য) আল্লাহ ছাড়া অপরের নৈকট্য অন্বেষী হয়, তখন আমাদের প্রভু তার এ আচরণে হাসেন।
২) সুন্দরী স্ত্রী আছে এবং খুব আরামদায়ক বিছানা আছে। কিন্তু সে রাতে সুন্দরী স্ত্রী, আরামের বিছানা ত্যাগ করে আল্লাহর দরবারে সালাতের জন্য দাঁড়িয়ে যায়। তাকে দেখে আল্লাহ হাসেন '' (সহীহ তারগীব, হাদিস নং ৬২৩)
আমাদের আল্লাহ হাসেন এ ব্যপারে হাদীস শরীফে ৯ জায়গায় আল্লাহর হাসির বননা পাওয়া যায় তবে এই হাসির মধ্যে ৮ প্রকারের হাসি বান্দার জন্য কাম্য ১ প্রকার হাসি কাম্য নয়
ঈমাম আহমেদ তাঁর মুসনাদে আহমেদ এ বলেন, ''আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন, যখন আমাদের রব কাউকে এ দুনিয়ার জীবনে দেখে হাসবেন। তার বিচার দিবসে কোন হিসেব দিতে হবে না, বিনা হিসেবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
১) আল্লাহর যে হাসি বান্দার জন্য কাম্য নয়- যে হাসি অর্জন না করে বর্জন করা উচিত
আল্লাহর যে হাসি বান্দার জন্য কাম্য নয় তা হল ইবনে মাজার ১৮১ নং হাদিস
আবূ রযীন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
ضَحِكَ رَبُّنَا مِنْ قُنُوطِ عِبَادِهِ وَقُرْبِ غِيَرِهِ "
যখন আল্লাহ্র বান্দারা (সামান্য বিপদেই) হতাশ হয় এবং (বিপদ কেটে উঠার জন্য) আল্লাহ ছাড়া অপরের নৈকট্য অন্বেষী হয়, তখন আমাদের প্রভু তার এ আচরণে হাসেন।
২) সুন্দরী স্ত্রী আছে এবং খুব আরামদায়ক বিছানা আছে। কিন্তু সে রাতে সুন্দরী স্ত্রী, আরামের বিছানা ত্যাগ করে আল্লাহর দরবারে সালাতের জন্য দাঁড়িয়ে যায়। তাকে দেখে আল্লাহ হাসেন '' (সহীহ তারগীব, হাদিস নং ৬২৩)
৩) যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে শহীদ হয় অথবা যুদ্ধে সাহায্য করে,
৪) যে ব্যক্তি সফরে কাফেলার সঙ্গে থাকা অবস্থায় ভাল থাক বা কষ্টে থাক ঘুম থেকে উঠে নামাজ আদায় করে। (হাকেম, হাদিস নং ১/২৫; সহীহাহ, হাদিস নং ৩৪৭৮)
৫) সহিহুল জামে ৮১০০ নং হাদিস (২জন শহিদকে দেখে হাসেন)
রাসুলুল্লাহ (দ) এরশাদ করেন আল্লাহ তায়ালা ২ ব্যক্তিকে দেখে হাসেন যে ২ ব্যক্তির এক ব্যক্তিকে অন্য ব্যক্তি হত্যা করছে – যাকে হত্যা করছে বা যে নিহত হয়েছে সেও জান্নাতি আর যে হত্যা করছে সেও জান্নাতি।
প্রথম যে নিহত হয়েছে সে যুদ্ধে ময়দায়ে কাফেরের হাতে নিহত বা শহিদ হয়েছে, সে জান্নাতি হয়ে গেছে, এখন যে কাফের যুদ্ধে হত্যা করছে পরবর্তীতে সে তওবা করে মুসলমান হয়ে গেছে মুসলমান হয়ে সে জিহাদের ময়দানে মুসলমানদের পক্ষে যুদ্ধ করতে করতে শহিদ হয়ে যায়
তাহলে যাকে মারছে সেও জান্নাতি আর যে মারছে পরে সে তওবা করে মুসলমান হয়ে যুদ্ধে শহিদ হয়ে সেও জান্নাতি তাদেরকে দেখে আল্লাহ তায়ালা হাসেন।
৬) সাদ বিন মুয়াজের জন্য হাসি
মাজমাউজ জাওয়ায়েদ ৯ম খন্ডের ৩১২ পৃষ্ঠার হাদিস- হযরত সাদ বিন মুয়াজ (রা) যখন মারা গেলেন তার মা চিৎকারে করে করে কান্না করতে লাগলেন, নবীজি বললেন হে সাদের মা তোমার চোখের পানি প্রবাহিত কর তবে চিৎকার করবেনা। কাঁদ যেন তোমার দুঃখ যেন না থাকে।
আল্লাহর নবী বলেন সাদের মা শুন তোমার সন্তান – প্রথম ঐ ব্যক্তি যার মৃত্যুর পর আল্লাহ তায়ালা হেসে দিয়েছেন এবং আল্লাহর আরশ কেপে উঠেছে।
পঞ্চম হিজরিতে সংঘটিত খন্দকের যুদ্ধে শত্রুদলের হিব্বান ইবনে আরিক্বাহর নিক্ষিপ্ত একটি তীর তাঁর দেহে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় তিনি মহান আল্লাহর কাছে এই মর্মে দোয়া করেন যে, তিনি যেন তাঁকে বনু কুরাইজার বিচার পর্যন্ত হায়াত দান করেন। কারণ বনু কুরাইজা খন্দকের যুদ্ধে মুসলমানদের সঙ্গে চরম গাদ্দারি করে। মুসলমানদের সঙ্গে সম্পাদিত মৈত্রী চুক্তি ভঙ্গ করে মক্কার মুশরিকদের গোপনে সহায়তা করে। মহান আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করেন। দীর্ঘ এক মাস তাঁর ক্ষত ভালো হয়নি। খন্দক যুদ্ধের পরপরই রাসুল (সা.) বনু কুরাইজার বিরুদ্ধে অভিযান চালান। তাদের দুর্গ অবরোধ করে রাখেন। অবশেষে তারা সাদ ইবনে মুয়াজ (রা.)-এর ফয়সালার ওপর রাজি হয়ে দুর্গ থেকে বেরিয়ে আসে। তাদের ধারণা ছিল সাদ (রা.) তাদের পক্ষে ইতিবাচক ফয়সালা করবেন। কেননা সাদ (রা.) ছিলেন আউস গোত্রের নেতা। তাঁর গোত্রের সঙ্গে বনু কুরাইজার ছিল মৈত্রী সম্পর্ক। কিন্তু সাদ (রা.) ইসলামের স্বার্থে এক চুল পরিমাণও ছাড় দিতে রাজি হননি।
অসুস্থ অবস্থায় তিনি মসজিদ-ই-নববীর অন্দরে একটি তাঁবুতে অবস্থান করছিলেন। রাসুল (সা.) তাঁকে ময়দানে নিয়ে আসতে বলেন। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় একটি ঘোড়ায় উঠিয়ে তাঁকে রাসুল (সা.)-এর কাছে আনা হয়। তাঁর বাহন রাসুল (সা.)-এর তাঁবুর কাছাকাছি এলে তিনি আনসারদের বলেন, ‘তোমাদের নেতার সাহায্যের জন্য উঠো। তাকে বাহন থেকে সযত্নে নামিয়ে নাও।’ অতঃপর রাসুল (সা.) তাঁকে বলেন, এরা (ইহুদিরা) তোমার ফয়সালার ওপর রাজি হয়ে আত্মসমর্পণ করেছে।
অতঃপর তিনি বনু কুরাইজার বিশ্বাসঘাতকদের যোদ্ধাদের হত্যার ফয়সালা করেন। নারী ও শিশুদের দাস-দাসী বানানো এবং তাদের সম্পদ গনিমত হিসেবে জব্দ করার ফয়সালা দেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তুমি আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী ফয়সালা করেছ।’ ফয়সালার পরপরই তাঁর জখম থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি শাহাদাতের অমিয় সুধা পান করেন। (আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া : ৪/১২৬-১২৭)
মদিনার ‘জান্নাতুল বাকি’ নামক কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়। ইন্তেকালের সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৩৭ বছর। তাঁর ইন্তেকালের পর জিবরাঈল (আ.) রেশমি পাগড়ি পরিধান করে রাসুল (সা.)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বলেন, কে মৃত্যুবরণ করেছে, যাঁর জন্য আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে এবং যাঁর কারণে আরশে কম্পন সৃষ্টি হয়েছে? রাসুল (সা.) দৌড়ে যান সাদ (রা.)-এর কাছে। গিয়ে দেখেন তিনি আর বেঁচে নেই। (বুখারি, হাদিস : ৩৮০৩; মুসলিম, হাদিস : ২৪৬৬)
৭) মেহমানদারী দেখে আল্লাহর হাসি
বুখারী ৩৭৯৮ নং হাদিস
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, এক লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খেদমতে এল। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের কাছে লোক পাঠালেন।
সে যখন নবীজির কাছে আসল নবীজি জিজ্ঞেস করলেন কি ব্যপারে খাবারের ব্যবস্থা হয়েছে নাকি? তখন সাহাবী জবাব দিল ( এ অংশটা একবার মন দিয়ে শুনেন)
সাহাবী নবীজিকে বলেন- এয়া রাসুল্লাহ আপনার প্রত্যেক বিবিরা জবাব দিয়েছেন
مَا مَعَنَا إِلَّا الْمَاءُ
আমাদের নিকট পানি ছাড়া কিছু নাই।
তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কে আছ যে এই ব্যক্তিকে মেহমান হিসেবে নিয়ে নিজের সাথে খাওয়াতে পার? তখন এক আনসারী সাহাবী [আবূ ত্বলহা (রাঃ)] বললেন, আমি। এ বলে তিনি মেহমানকে নিয়ে গেলেন এবং স্ত্রীকে বললেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মেহমানকে সম্মান কর। স্ত্রী বললেন, বাচ্চাদের খাবার ছাড়া আমাদের ঘরে অন্য কিছুই নেই। আনসারী বললেন, তুমি আহার প্রস্তুত কর এবং বাতি জ্বালাও এবং বাচ্চারা খাবার চাইলে তাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে দাও। সে বাতি জ্বালাল, বাচ্চাদেরকে ঘুম পাড়াল এবং সামান্য খাবার যা তৈরি ছিল তা উপস্থিত করল। বাতি ঠিক করার বাহানা করে স্ত্রী উঠে গিয়ে বাতিটি নিভিয়ে দিলেন। তারপর তারা স্বামী-স্ত্রী দু’জনই অন্ধকারের মধ্যে আহার করার মত শব্দ করতে লাগলেন এবং মেহমানকে বুঝাতে লাগলেন যে, তারাও সঙ্গে খাচ্ছেন। তাঁরা উভয়েই সারা রাত অভুক্ত অবস্থায় কাটালেন। ভোরে যখন তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলেন, তখন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,ضَحِكَ اللهُ اللَّيْلَةَ أَوْ عَجِبَ مِنْ فَعَالِكُمَا فَأَنْزَلَ اللهُ
وَيُؤْثِرُوْنَ عَلٰى أَنْفُسِهِمْ وَلَوْ كَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ وَمَنْ يُّوْقَ شُحَّ نَفْسِهٰ فَأُوْلٰٓئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ (الحشر : 9)
‘তারা অভাবগ্রস্ত সত্ত্বেও নিজেদের উপর অন্যদেরকে অগ্রগণ্য করে থাকে। আর যাদেরকে অন্তরের কৃপণতা হতে মুক্ত রাখা হয়েছে, তারাই সফলতাপ্রাপ্ত।’’ (আল-হাশর ৯)
৮) এছাড়া অপর বননা আছেন যখন মুসলমান নামাজের জন্য দাঁড়ায় কাতার সোজা করে তখন আল্লাহ কাতার বন্ধী মুসল্লীদেরকে দেখে হাসেন।
# নবী করিম (দ) কাতার সমুহকে এমন ভাবে সোজা করতেন যেভাবে তিরকে সোজা করা হয়
# কাতার বাঁকা হলে মসজিদে সমাজে বিরোধ সৃষ্টি হয়
# কাতার শরীরের সাথে শরীর মিলিয়ে কাধের সাথে কাধ মিলিয়ে সোজা করতে হবে,
বুখারীর ৭১৯ নং হাদিস
আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সালাতের ইক্বামাত(ইকামত/একামত) হচ্ছে, এমন সময় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে মুখ করে তাকালেন এবং বললেনঃ
أَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ وَتَرَاصُّوا فَإِنِّي أَرَاكُمْ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِي.
তোমরা তোমাদের কাতারগুলো সোজা করো এবং গায়ে গায়ে মিশে দাঁড়াও। কেননা আমি তোমাদেরকে আমার পেছন দিক থেকেও দেখতে পাই।’
নাসাঈ শরীফের ৮১৩ নং হাদিস
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সা.) বলতেন,
اسْتَوُوا اسْتَوُوا اسْتَوُوا فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لَأَرَاكُمْ مِنْ خَلْفِي كَمَا أَرَاكُمْ مِنْ بَيْنِ يَدَيَّ .
“ইসতাঊ, ইসতাঊ, ইসতাঊ" (তোমরা বরাবর হয়ে দাঁড়াও, বরাবর হয়ে দাঁড়াও, সোজা হয়ে দাঁড়াও)। যার হাতে আমার জীবন তাঁর কসম! আমি তোমাদের দেখছি পেছন হতে যেভাবে আমি তোমাদের দেখছি আমার সামনে হতে।
দেখেন এই হাদীসসমুহ যদি পড়েন তাহলে আপনি কোনদিনও বলতে পারবেন না নবী আমাদের মত সাধারণ মানুষ
নবীর শুধু দেখেনই না বরং আমাদের নামাজের মনযোগ একাগ্রতা এসবও দেখেন
বুখারীর ৭০৫ নং হাদিস
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
" هَلْ تَرَوْنَ قِبْلَتِي هَا هُنَا وَاللَّهِ مَا يَخْفَى عَلَىَّ رُكُوعُكُمْ وَلاَ خُشُوعُكُمْ، وَإِنِّي لأَرَاكُمْ وَرَاءَ ظَهْرِي ".
তোমরা কি মনে কর যে, আমার কিবলা শুধুমাত্র এ দিকে? আল্লাহর শপথ, তোমাদের রুকূ’ তোমাদের খুশু’, কোন কিছুই আমার কাছে গোপন থাকে না। আর নিঃসন্দেহে আমি তোমাদের দেখি আমার পিছন দিক থেকেও।
# কাতারে ফাঁকা থাকলে শয়তান ঢুকে নামাজে ওয়াস ওয়াসা দেয়
# সামনের কাতার খালি রেখে পিছনের কাতারে দাঁড়াবেন না –
একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে আগমন করলেন এবং বললেন, তোমরা কেন এভাবে কাতারবদ্ধ হয়ে দাঁড়াচ্ছ না যেভাবে ফেরেশতারা আল্লাহর সামনে কাতারবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়। আমরা আবেদন করলাম, হে আল্লাহর রসূল! ফেরেশতারা আল্লাহর সামনে কিভাবে কাতারবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়? তিনি বললেন, তারা প্রথমে সামনের কাতার পুরা করে এবং কাতারে মিলেমিশে দাঁড়ায়। -(মুসলিম, ৪৩০)
৯) জাহান্নাম থেকে সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি দেখে আল্লাহর হাসি
মুসলিম শরীফের ৩৫৯ নং হাদিস
এ হাদিসটি মনযোগ দিয়ে শুনবেন কারন এই হাদিস বলার সময় হাদিসের রাবি হেসেছেন, নবীজি হেসেছেন সাহাবারা হেসেছেন , আমিও হাসব আপনারাও হাসবেন
ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সবার শেষে এক ব্যাক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে। সে হাটবে আবার উপূড় হয়ে পড়ে যাবে। জাহান্নামের আগুন তাকে ঝাপটা দেবে। অগ্নিসীমা অতিক্রম করার পর সে তার দিকে ফিরে দেখবে এবং বলবে, সে সত্তা কত মহিমাময়, যিনি আমাকে তোমার থেকে নাজাত দিয়েছেন। তিনি আমাকে এমন জিনিস দান করেছেন, যা পূর্বাপর কাউকেও প্রদান করেননি। এরপর তাঁর সম্মুখে একটি বৃক্ষ উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে, (যা দেখে) সে বলবে, হে প্রতিপালক! আমাকে এ বৃক্ষটির নিকটবর্তী করে দিন, যেন আমি এর ছায়া গ্রহন করতে পারি এবং এর নিচে প্রবাহিত পানি থেকে পিপাসা নিবারণ করতে পারি।
আল্লাহ তা’আলা বলবেনঃ হে আদম সন্তান! যদি আমি তোমাকে তা দান করি, তবে হয়তো তুমি আবার অন্য একটি প্রার্থনা করে বসবে। তখন সে বলবে, না, হে প্রভু! সে এর অতিরিক্ত আর চাইবে না বলে আল্লাহ তা’আলার কাছে অঙ্গীকার করবে এবং আল্লাহও তার ওযর গ্রহণ করবেন। কারণ সে এমন সব জিনিস প্রত্যক্ষ করেছে, যা দেখে সবর করা যায় না। অতএব, আল্লাহ জন্য তাকে ঐ বৃক্ষটির নিকটবর্তী করে দিবেন। আর সে এর ছায়া গ্রহণ করবে ও পানি পান করবে।
তারপর আবার একটি বৃক্ষ উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে; যেটি প্রথমটি অপেক্ষা অধিক সুন্দর। তা দেখেই সে প্রার্থনা করবে, হে পরওয়ারদিগার! আমাকে এর নিকটবর্তী করে দিন যেন আমি তা থেকে পানি পান করতে পারি এবং এর ছায়া গ্রহণ করতে পারি। তারপর আর কিছুর প্রার্থনা করব না। আল্লাহ উত্তর দিবেনঃ আদম সন্তান! তুমি না আমায় কসম করে বলেছিলে আর কোনটি প্রার্থনা জানাবে না। তিনি আরো বলবেনঃ যদি আমি তোমাকে তার নিকটবর্তী করে দেই, তরে তুমি হয়তো আরও কিছুর জন্য প্রার্থনা করবে। সে আর কিছু চাইবে না বলে অঙ্গীকার করবে। আল্লাহ তা’আলা তার এ ওযর কবুল করবেন। কারণ সে এমন সব জিনিস প্রত্যক্ষ করেছে যা দেখে সবর কবা যায় না। যাহোক তিনি তাকে এর নিকটবতী করে দিবেন। আর সে ছায়া গ্রহণ করবে ও পানি পান করবে।
এরপর আবার জান্নাতের দরজার কাছে আরেকটি বৃক্ষ উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে, এটি পূর্বের বৃক্ষদ্বয় অপেক্ষাও নয়নাভিরাম। তাই সে বলে উঠবে, হে প্রতিপালক! আমাকে এ বৃক্ষটির নিকটবর্তী করে দিন, যেন আমি এর ছায়া গ্রহণ করতে ও পানি পান করতে পারি। আমি আর কিছু প্রর্থেনা করব না। আল্লাহ বলবেনঃ হে আদম সন্তান! তুমি আমার কাছে আর কিছু চাইবে না বলে কসম করনি? সে উত্তরে বলবে, অবশ্যই করেছি। হে প্রভু! তবে এটই আর কিছু চাইব না। আল্লাহ তার ওযর গ্রহণ করবেন। কারণ সে এমন সব জিনিস প্রত্যক্ষ করেছে, যা দেখে সবর করা যায় না। তিনি তাকে এর নিকটবতী করে দিবেন। যখন তাকে নিকটবতী করে দেওয়া হবে, আর জান্নাতীদের কণ্ঠসূর তাঁর কানে ধ্বনিত হরে, তখন সে বলবে, হে প্রতিপালক! আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিন। আল্লাহ বলবেনঃ হে আদম সন্তান! তোমার কামনা কোথায় গিয়ে শেষ হবে? আমি যদি অেমাকে পৃথিবী এবং তার সমপরিমাণ বস্তু দান করি তবে কি তুমি পরিতৃপ্ত হবে? সে বলবে,
يَا رَبِّ أَتَسْتَهْزِئُ مِنِّي وَأَنْتَ رَبُّ الْعَالَمِينَ "
হে প্রতিপালক! আপনি কৌতূক করছেন! আপনি তো সারা জাহানের প্রভূ।
এ কথাটি বর্ণনা করতে গিয়ে বর্ণনাকারী ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হেসে ফেললেন। আর বললেন, আমি কেন হেসেছি তা তোমরা জিজ্ঞেস করলে না? তারা বলল, কেন হেসেছেন? তখন তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুরুপ হেসেছিলেন। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! কেন হাসছেন? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এজন্য যে, ব্যাক্তিটির এ উক্তি
يَا رَبِّ أَتَسْتَهْزِئُ مِنِّي وَأَنْتَ رَبُّ الْعَالَمِينَ "
“আপনি আমার সাথে কৌতূক করছেন, আপনি তো সারা জাহানের প্রতিপালক? শুনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হেসেছেন বলে আমিও হাসলাম। যা হোক, আল্লাহ তাকে বলবেনঃ তোমার সাথে কৌতুক করছি না। মনে রেখ, আমি আমার সকল ইচ্ছার ওপর ক্ষমতাবান।
সুতরাং এককথায় আল্লাহ যে সব বান্দাকে দেখে হাসেন
১) রাতে আরামের বিছানা ও স্ত্রী ও ঘুম ত্যাগ করে যে নামাজে দাঁড়িয়ে যায়
২) যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে ও জিহাদে সাহায্য করে
৩) যে সফরে থাকা অবস্থায়ও সববস্থায় তাহাজ্জুদ ত্যাগ করেনা
৪) সে ২ ব্যক্তি যে হত্যা হয়েছে এবং যে হত্যা করেছে উভয় যখন জান্নাতে যাবে তাদের দেখে আল্লাহ হাসেন
৫) হযরত সাদ বিন মুয়াজ এর ইন্তেকালে আল্লাহ হেসে দিয়েছেন
৬) আনসারী সাহাবী হযরত আবু ত্বলহা ও তার স্ত্রীর মেহমানদারী দেখে আল্লাহ হেসে দিয়েছেন
৭) যে সব মুসল্লী নামাজের কাতার সোজা করে তাদের দেখে আল্লাহ হাসেন
৮) জাহান্নাম থেকে সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তির কান্ড দেখেও আল্লাহ হাসেন
এ ৮ প্রকার হাসি অজন করা কাম্য
৯ম- প্রকার হাসি অজন করা কাম্য নয় আর তা হল সামান্য কারনে ধৈয্যহারা হয়ে আল্লাকে বাদ দিয়ে অন্যের কাছে সাহায্য কামনা কারীকে দেখে আল্লাহ হাসেন
সুতরাং আমাদের উচিত যে আমল করলে আল্লাহ তায়ালা খুশি হয়ে যান হাসনে সে সব আমল করে জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা সহজ করি।
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল https://www.youtube.com/@Allahwalamedia https://www.youtube.com/@Allbangladua https://www.youtube.com/@Jaalhaq আমাদের ফেসবুক পেজ
https://www.facebook.com/islamishariatbd
https://www.facebook.com/Jaalhaqbd
https://www.facebook.com/karamatbd
https://www.facebook.com/AllBanglaDua
https://www.facebook.com/Jaalhaqbd
https://www.facebook.com/karamatbd
https://www.facebook.com/AllBanglaDua
আমাদের ফেসবুক গ্রুপ
ইনস্টাগ্রাম https://www.instagram.com/jaalhaq.bd/ আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন
কোন মন্তব্য নেই