Header Ads

Header ADS

এক ফোটা চোখের পানির ফজিলত। কান্নার ফজিলত


 

শাওয়াল মাসের খুতবা-৩

কান্না /চোখের পানির ফজিলত

فَلْيَضْحَكُواْ قَلِيلاً وَلْيَبْكُواْ كَثِيراً جَزَاء بِمَا كَانُواْ يَكْسِبُونَ

অতএব, তারা সামান্য হেসে নিক এবং তারা তাদের কৃতকর্মের বদলাতে অনেক বেশী কাঁদবে। [সুরা তাওবা - ৯:৮২]

কান্না ১০ প্রকার

() বুকাউর রাহমা (দয়ার কান্না)

()বুকাউল খাওফ আল্লাহর ভয়ে কান্না

) বুকাউল ফারহে ওয়াস সুরুর (আনন্দের কান্না)

) বুকাউল আলাম (ব্যথার কান্না

) বুকাউল হুজনি (দুঃখের কান্না

) বুকাউল মুহাব্বাত (ভালবাসার কান্না

) বুকাউদ দুফি (দুর্বলতার কান্না

) বুকাউল নিফাক (মুনাফিকের কান্না

) বুকাউল মুসতাআর (ভাড়াটিয়া কান্না

১০) বুকাউল মুয়াফাকা (অন্যের কান্না দেখে কান্না

বুকাউর রাহমা ওয়ার রিক্কার উদাহারণ

বুখারী শরীফের ২২৯৭ নং হাদিস হযরত আবু বকর (রা) মক্কার কাফেরদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে একবার মক্কা ত্যাগ করে যখন বরকুল গিমাদ নামক স্থানে পৌছলেন সে গোত্রের নেতা ইবনু দাগিনা আবু বকরকে মক্কা ত্যাগের কারন জিজ্ঞেস করলেন আবু বকর বললেন আমার গোত্রের লোকেরাইল আমাকে বের করে দিয়েছৈ, তখন ইবনু দাগিনা আবু বকরকে নিয়ে মক্কা আসেন আর মক্কার নেতাদের সাথে কথা বলে আবু বকরের প্রতি অত্যাচার নিপড়িন করতে নিষেধ করলেন এবং নিজে আবু বকরের জিম্মাদারী নিলেন, কাফেরেরা বলল আবু বকর কে আমরা নিপীড়ন করব না তবে শত হল সে তার ঘরে নামাজ ও কুরআন তেলাওয়াত করবে কারন সে কাবা ঘরে নামাজ ও তেলাওয়াত করলে আমাদের মহিলা ও ছোট ছোট বাচ্চারা প্রভাবিত হয়, ফলে তারা হয় ইসলামের দিকে ঝুকে যাবে, কারন আবু বকর এত সুন্দর নামাজ ও কুরআন পড়তেন যখন নামাজ ও কুরআন পড়তেন এত বেশী কাদতেন যা দেখে যে কেহ প্রভাবিত হবে স্বাভাবিক, আবু বকরের এই কান্না ছিল (রহমতের কান্না দয়ার কান্না) যে কান্না আল্লাহ প্রদত্ত তাতে এমন বরকত তা দেখে কাফেরও হেদায়েত পেয়ে যায়। আল্লাহ তায়ালা আমদেরকেও রহমতের কান্না দান করুন আমিন

বুখারীর ১২৮৪, ১৩০৩, ১৩০৪, ২৭৯৮ নং হাদিস

#যয়নাব (রা) এর পুত্র নবীর নাতি মরনাপন্ন হলে তাকে নবীর কোলে দেয়া হল সে তখন মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করছিল তা দেখে নবীজির চোখ বেয়ে পানি বের হতে লাগল তখন সাবাহী প্রশ্ন করলেন এয়া রাসুলাল্লাহ এটা কি?

তখন নবীজি বললেন

 هَذِهِ رَحْمَةٌ جَعَلَهَا اللهُ فِي قُلُوبِ عِبَادِهِ وَإِنَّمَا يَرْحَمُ اللهُ مِنْ عِبَادِهِ الرُّحَمَاءَ

তিনি বললেনঃ এ হচ্ছে রহমত, যা আল্লাহ্ তাঁর বান্দার অন্তরে গচ্ছিত রেখেছেন। আর আল্লাহ্ তো তাঁর দয়ালু বান্দাদের প্রতিই দয়া করেন।

সুতরাং রহমতের কান্না আসা তেলাওয়াত শুনলে, ওয়াজ শুনলে কারো মৃত্যুতে এটা যারা দয়ালু তাঁদেরই আসে,

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকেও যেন রহমতের কান্না করতে পারার তৌফিক দান করেন। আমিন

বিলাপের কান্না দ্বারা মুর্দারের আযাব

আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলে, সাদ ইবনু উবাদাহ (রাঃ) রোগাক্রান্ত হলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুর রাহমান ইবনু আওফসাদ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস এবং আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসঊদ (রাঃ)-কে সঙ্গে নিয়ে তাঁকে দেখতে আসলেন। তিনি তাঁর ঘরে প্রবেশ করে তাঁকে পরিজনের মাঝে দেখতে পেলেন। জিজ্ঞেস করলেন, তার কি মৃত্যু হয়েছে! তাঁরা বললেন, না। হে আল্লাহর রাসূল! তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেঁদে ফেললেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কান্না দেখে উপস্থিত লোকেরা কাঁদতে লাগলেন। তখন তিনি ইরশাদ করলেনঃ শুনে রাখ!

إِنَّ اللهَ لاَ يُعَذِّبُ بِدَمْعِ الْعَيْنِ وَلاَ بِحُزْنِ الْقَلْبِ وَلَكِنْ يُعَذِّبُ بِهَذَا وَأَشَارَ إِلَى لِسَانِهِ

নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ তাআলা চোখের পানি ও অন্তরের শোক-ব্যথার কারণে আযাব দিবেন না। তিনি আযাব দিবেন এর কারণে (এ বলে) জিহ্বার দিকে ইঙ্গিত করলেন, অর্থ্যাৎ বিলাপ করার কারনে

#ওমর (রা) কেহ মারা গেলে সেখানে লাঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন কেহ বিলাপ করলে তাকে লাঠি দ্বারা আঘাত করতেন, বা কংকর নিক্ষেপ করতেন, অথবা মুখে মাটি পুরে দিতেন

তিরমিজির ২৪০৬ নং হাদিস গুনাহের জন্য কান্না করলে মুক্তি মিলে

عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا النَّجَاةُ قَالَ ‏

উকবা ইবনু আমির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! মুক্তির উপায় কি? তিনি বললেনঃ

(1) ‏ "‏ أَمْسِكْ عَلَيْكَ لِسَانَكَ

তুমি তোমার রসনা সংযত রাখ,

 

(2) وَلْيَسَعْكَ بَيْتُكَ

তোমার বাসস্থান যেন তোমার জন্য প্রশস্ত হয় (অর্থাৎ তুমি তোমার বাড়ীতে অবস্থান কর)

** ঘর প্রশস্থ হলে ঘরে সুকুন থাকলে কাজ থেকে সোজা ঘরে যেতে মন চাইবে, বাহিরে আড্ডা দেয়া বাহিরের বিপদ, বাহিরের গুনাহ থেকে বেঁচে যেতে পারবে। অনেকে রাতে খাবার খেয়ে বাহিরে চলে যায় সিগারেট পান করার জন্য, অথচ এই সিগারেট জাহান্নামের একটি খাদ্যের সাথে মিলে যায়

সিগারেট খেলে স্বাস্থ্যও বৃদ্ধী হয়না, ‍সিগারেট দ্বারা ক্ষুধাও নিবারন হয়না এমন একটি খাদ্য জাহান্নামে আছে যার নাম (দরি)

সুরা গাশিয়াহ

لَّيْسَ لَهُمْ طَعَامٌ إِلَّا مِن ضَرِيعٍ

لَا يُسْمِنُ وَلَا يُغْنِي مِن جُوعٍ

এটা তাদেরকে পুষ্ট করবে না এবং ক্ষুধায়ও উপকার করবে না। [সুরা গাশিয়াহ - ৮৮:৭]

এবং (৩)وَابْكِ عَلَى خَطِيئَتِكَ

 তোমার গুনাহের জন্য ক্ৰন্দন কর।

() মুখ সংযত করা () ঘরকে প্রশস্থ করা যাতে ঘরে বেশীক্ষণ থেকৈ গুনাহ থেকে পবিত্র থাকা যায় () গুনাহের জন্য ক্রন্দন করা তাহলে মুক্তি মিলবে

 

আল্লাহর ভয়ে কান্না

জামেউস সাগির ৮৬৫৫ নং হাদিস

আনাস (রা) হতে বর্ণিত নবী করিম () এরশাদ করেন যারা আল্লাহর ভয়ে কাঁদে, যখন একা একা জিকির করতে করতে কারো চোখে পানি চলে আসে (যদি একা একা জিকির করেন অবশ্যিই দেখবেন চোখ দিয়ে পানি আসবে) এভাবে আল্লাহকে স্মরণ করার পর যখন আপনার চোখ দিয়ে পানি আসবে তখন (হাত্তা য়ুসিবাল আরদু মিন দুমুইহি) তার চোখের পানির ফোটা যদি জমিনের মধ্যে পড়ে যায়

(লাম ইউয়াজ্জিবুহুল্লাহু এয়াউমাল কিয়ামা) আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন আযাব দিবেন না।

**সে জন্য যখন চোখের পানি আসবে তখন ইচ্ছে করে হলেও জমিনের মধ্যে চোখের পানির ফোটা ফেলবেন

 

শায়খ সাদি একটি ঘটনা লিখেন- এক বুযুর্গ ছিলেন মানুষকে খাওয়ানোটা ছিল তাঁর শখ নিজের কাছে থাকলেও খাওয়াতেন নিজের কাছে না থাকলে অপরের কাছ থেকে ঋণ করে হলেও মানুষকে খাওয়াতেন ফলে সে বুযুর্গের অনেক ঋণ হয়ে গেল ঋন দাতারা সকলে একজোট হয়ে একদিন সে বুযুর্গের
কাছে পাওনা টাকা উসুল করতে চলে আসলেন, সকলে সে বুযুর্গের সাথে ঝগড়া করতে লাগলেন নিজেদের পাওনা টাকার জন্য, আর সে বুযুর্গ তখনও চিন্তায় আছেন এসব মেহমানদেরকে কি খাওয়াবেন কি খেতে দিবেন এটা নিয়ে।

এমন সময় একটি ছেলে থালাতে করে হালুয়া বিক্রী করতে সেখানে চলে আসল, তখন সে বুযুর্গ সে ছেলেটিকে বললেন এরা আমার মেহমান তাদেরকে তোমার সবগুলি হালুয়া খাওয়াতে থাক।

 

ছেলেটি তার সবগুলি হালুয়া মেহমানদেরকে খাওয়ানোর পর বলল হুযুর আমার হালুয়ার টাকাগুলি দিয়ে দিন তখন বুযুর্গ বললেন এরা সকলেই আমার কাছে পাওনা টাকার জন্য এসেছে তাদের কাতারে তুমিও বসে যাও।

এ কথা শুনে সে ছেলেটি কান্না শুরু করে দিল আর বলতে লাগল আমার ঘরে আমার বৃদ্ধ মা আমিই একমাত্র উপার্জনকারী এখন আপনি আমার সব মাল মেহমানদেরকে খাওয়াতে বললেন কিন্তু তার দাম এখন দিতে পারবেন না, অথচ এর মধ্যেই আমার মায়ের ঔষধ আমাদের ঘরের খরচা নির্বাহ হয় এসব বলে বলে সে ছেলেটি অঝোড়ে কান্না করতে লাগলেন ছেলেটির কথা শুনে এবং কান্না দেখে বাকী সকল কর্জদারও কাঁদতে লাগল এমন সময় একজন লোক এসে সে বুযুর্গকে প্রচুর নাজরানা দিলেন আর বললেন হুযুর এগুলি রাখুন আমি শুনেছি আপনি মেহমানদারী করতে পছন্দ করেন আপনার অনেক ঋণ আমার পক্ষ থেকে এ নাজরানা কবুল করুন, তখন সে বুযুর্গ উক্ত নাজরানা থেকে উনার সকল পাওনাদারের পাওনা মিটিয়ে দিলেন এবং সে হালুয়া বিক্রেতা বাচ্চার পাওনাও মিটিয়ে দিলেন তখন একজন পাওনাদার প্রশ্ন করলেন হুজুর আমি গত ৬ মাস যাবৎ আপনার কাছে আমার পাওনা আদায়ে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি আর আজকে আপনি আমাদের সকলের ঋণ একসাথে কিভাবে পরিশোধ করে দিলেন? তখন সে বুযুর্গ জবাব দিল আপনারা সকলে পাওনাদার কিন্তু ওনাদারদের মধ্যে কেহ প্রকৃত অভাবী ছিলেননা এবং আপনাদের কেহ কান্নাও করেননি, আজ যখন আমার পাওনাদারদের মধ্যে েএ হালুয়া বিক্রেতা ছেলেটি নিজের পাওনার জন্য কান্না শুরু করে দিল তখন আল্লাহ তায়ালা আমার দোয়াও কবুল করল এবং গায়েবী ভাবে এত বেশী নাজরানা আসল যা দিয়ে আমি আপনাদের সকলের ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছি,
এ সব কিছু হল এই ছেলের চোখের পানির বরকত সুবহানাল্লাহ।

হুযুর গউছে আজম ফতহুর রাব্বানিতে লিখেন

পুরা মজলিশে যদি একজনও চোখের পানি ছেড়ে দেয় আল্লাহ তার বরকতে সকলের ঝুলি ভরে দেন।

কান্না না আসার কারন কি?

দুর্ভ্যাগ্য হল আমাদের চোখে পানি আসেনা, আমাদের অন্তর শক্ত হয়ে গেছে আমরা কাঁদতে পারিনা।

হজরত আবু বকর (রা.) বলেন, ‘মানুষের অন্তর শক্ত হলে চোখ অশ্রুহীন হয়ে যায় আর অন্তর শক্ত হয় অধিক পরিমাণে গোনাহ করার কারণে।

সে জন্য নবী করিম () কঠিন হৃদয় আল্লাহর ভয়হীন অন্তর থেকে পানাহ চেয়ে দোয়া করতেন

للَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لاَ يَنْفَعُ وَمِنْ قَلْبٍ لاَ يَخْشَعُ

হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট পানাহ চাই এমন ইলম হতে যা কোন উপকারে আসবে না ও এমন অন্তঃকরণ থেকে যা আল্লাহর ভয়ে ভীত হয় না;

হযরত শোয়াইব এর কান্না

হযরত শোয়েব (আ) এত বেশী কান্না করেছেন এত কান্না করেছেন কাঁদতে কাঁদতে অন্ধ হয়ে গেছেন আল্লাহ আবার চোখ ঠিক করে দিলেন এভাবে পর পর ৩ বার অন্ধ হলেন আল্লাহ চোখ ঠিক করে দিলেন আল্লাহ বলেন হে শোয়াইব তুমি কি জান্নাতের আশায় কাঁদ যদি তাই হয় আমি তোমার জন্য জান্নাত নির্ধারন করে দিব, শোয়েব বলে না, তাহলে কি জাহান্নামের কোরনে কাঁদ তিনি বলেন না আমি বরং আপনার ভয়ে কাঁদি,

শোয়েব এর জাতির উপর গরমের আযাব- কারন ওজনে কম

শোয়েব (আ) এর কউম এর উপরই গরমের আযাব নাজিল হয়েছিল, যে আযাবে হাজার হাজার লোক ছটফট করতে করতে মারা গিয়েছিল।

নবীগনের কান্নার আয়াত

أُوْلَئِكَ الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِم مِّنَ النَّبِيِّينَ مِن ذُرِّيَّةِ آدَمَ وَمِمَّنْ حَمَلْنَا مَعَ نُوحٍ وَمِن ذُرِّيَّةِ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْرَائِيلَ وَمِمَّنْ هَدَيْنَا وَاجْتَبَيْنَا إِذَا تُتْلَى عَلَيْهِمْ آيَاتُ الرَّحْمَن خَرُّوا سُجَّدًا وَبُكِيًّا

এরাই তারা-নবীগণের মধ্য থেকে যাদেরকে আল্লাহ তা'আলা নেয়ামত দান করেছেন। এরা আদমের বংশধর এবং যাদেরকে আমি নূহের সাথে নৌকায় আরোহন করিয়েছিলাম, তাদের বংশধর, এবং ইব্রাহীম ও ইসরাঈলের বংশধর এবং যাদেরকে আমি পথ প্রদর্শন করেছি ও মনোনীত করেছি, তাদের বংশোদ্ভূত। তাদের কাছে যখন দয়াময় আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করা হত, তখন তারা সেজদায় লুটিয়ে পড়ত এবং ক্রন্দন করত। [সুরা মারঈয়াম - ১৯:৫৮]

 

ফাল এয়াদহাকু কালিলাম ওয়াল এয়াবকু কাসিরা আল্লাহ এরশাদ করছেন কম হাস বেশী বেশী কাঁদ (সুরা তওবা ৮২)

আমাদের যদিও কান্না আসে সেটা দুনিয়ার জন্য- আল্লাহর ভয়ে পানি আসেনা অথচ মুসলমানদের জন্য

কুরআনে সবচেয়ে আশার আয়াত কোনটি জানেন? ইমাম জয়নুল আবেদীন ফরমান- সবচেয়ে আশার আয়াত হল

وَلَسَوْفَ يُعْطِيكَ رَبُّكَ فَتَرْضَى
আপনার পালনকর্তা অতি সহসাত আপনাকে  এত বেশী দান করবেন আপনি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন। [সুরা দুহা - ৯৩:৫]

এ আয়াত কখন নাজিল হয়েছে জানেন?

যখন হুজুর (দ) কাঁদতে আরম্ভ করলেন আল্লাহ তায়ালা যখন আযাবের আয়াত নাজিল করলেন তখন হুজুর (দ) কাঁদতে লাগলেন, এত বেশী কাঁদতে লাগলেন অবশেষে আবু বকর সিদ্দিক (রা) হুজুর (দ) কে অনুরোধ করে বললেন হুজুর আর কাঁদবেন না আল্লাহ তায়ালা আপনাকে খুব ভালোবাসেন তিনি আপনার উম্মতের কল্যাণ করবেন, আপনার চিন্তা দুর করবেন কিন্তু হুজুরের কান্না যেন থামছেই না, তখন আরশের মালিকের রহমতের জোষ এসে গেল আর সুরা দোহা নাজিল করে দিল আর সবচেয়ে বড় সুখবর দিয়ে দিলেন হে রসুল আপনার পালনকর্তা আপনাকে এত বেশী দিবেন আপনি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন আমাদেরও দোয়া আছে কিন্তু দোয়াতে চোখের পানি নাই, চাওয়াতে আন্তরিকতা তাই আমাদের দোয়া কবুল হয়না একবার যদি হৃদয়ের গভীর থেকে চাইতে পারেন আর সে চাওয়াতে যদি চোখের পানি মিশ্রিত থাকে তাহলে আল্লাহ  আপনার সে চাওয়া পুরণ করে দিবেন আপনার হাজত পুরণ হবে

সব সমস্যা ইনশা আল্লাহ সমাধান হবে।

হযরত আয়শার কান্না ও ১০টি আয়াত

#সাফওয়ান ইবনে মুয়াত্তাল সুলামি আয়শাকে নিয়ে এসছিলেন

#এ অপবাদ রটনা করেন মুনাফিক সরদার আবদুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলুল

# মিসতাহ ও তাতে জড়িত হয়ে যান যাকে আবু বকর (রা) সব সময় সাহায্য করতেন

ইফকের ঘটনার পর আয়শা (রা) এর কান্নার কারনে আসমান থেকে আয়শা (রা) এর প্রসংশা ও অপবাদ মুক্তির সনদ হিসেবে ১০টি আয়াত নাজিল হয়

নবীজি বলেন- (আবশিরি এয়া আয়শা, আমাল্লাহু আজজা ওয়াজাল্লা ফাকাদ বারায়াকিল্লাহ)

হে আয়শা সুসংবাদ গ্রহণ কর, আল্লাহ তোমাকে অপবাদ মুক্ত করিয়াছেন

সুরা নুরের ১১-২০ নং আয়াতে তা সুস্পষ্ট

إِنَّ الَّذِينَ جَاؤُوا بِالْإِفْكِ عُصْبَةٌ مِّنكُمْ لَا تَحْسَبُوهُ شَرًّا لَّكُم بَلْ هُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ لِكُلِّ امْرِئٍ مِّنْهُم مَّا اكْتَسَبَ مِنَ الْإِثْمِ وَالَّذِي تَوَلَّى كِبْرَهُ مِنْهُمْ لَهُ عَذَابٌ عَظِيمٌ

যারা মিথ্যা অপবাদ রটনা করেছে, তারা তোমাদেরই একটি দল। তোমরা একে নিজেদের জন্যে খারাপ মনে করো না; বরং এটা তোমাদের জন্যে মঙ্গলজনক। তাদের প্রত্যেকের জন্যে ততটুকু আছে যতটুকু সে গোনাহ করেছে এবং তাদের মধ্যে যে ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে, তার জন্যে রয়েছে বিরাট শাস্তি। [সুরা নুর - ২৪:১১]

لَوْلَا إِذْ سَمِعْتُمُوهُ ظَنَّ الْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بِأَنفُسِهِمْ خَيْرًا وَقَالُوا هَذَا إِفْكٌ مُّبِينٌ

তোমরা যখন একথা শুনলে, তখন ঈমানদার পুরুষ নারীগণ কেন নিজেদের লোক সম্পর্কে উত্তম ধারণা করনি এবং বলনি যে, এটা তো নির্জলা অপবাদ? [সুরা নুর - ২৪:১২]

لَوْلَا جَاؤُوا عَلَيْهِ بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاء فَإِذْ لَمْ يَأْتُوا بِالشُّهَدَاء فَأُوْلَئِكَ عِندَ اللَّهِ هُمُ الْكَاذِبُونَ

তারা কেন ব্যাপারে চার জন সাক্ষী উপস্থিত করেনি; অতঃপর যখন তারা সাক্ষী উপস্থিত করেনি, তখন তারাই আল্লাহর কাছে মিথ্যাবাদী। [সুরা নুর - ২৪:১৩]

وَلَوْلَا فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ لَمَسَّكُمْ فِي مَا أَفَضْتُمْ فِيهِ عَذَابٌ عَظِيمٌ

যদি ইহকালে পরকালে তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ দয়া না থাকত, তবে তোমরা যা চর্চা করছিলে, তজ্জন্যে তোমাদেরকে গুরুতর আযাব স্পর্শ করত। [সুরা নুর - ২৪:১৪]

إِذْ تَلَقَّوْنَهُ بِأَلْسِنَتِكُمْ وَتَقُولُونَ بِأَفْوَاهِكُم مَّا لَيْسَ لَكُم بِهِ عِلْمٌ وَتَحْسَبُونَهُ هَيِّنًا وَهُوَ عِندَ اللَّهِ عَظِيمٌ

যখন তোমরা একে মুখে মুখে ছড়াচ্ছিলে এবং মুখে এমন বিষয় উচ্চারণ করছিলে, যার কোন জ্ঞান তোমাদের ছিল না। তোমরা একে তুচ্ছ মনে করছিলে, অথচ এটা আল্লাহর কাছে গুরুতর ব্যাপার ছিল। [সুরা নুর - ২৪:১৫]

وَلَوْلَا إِذْ سَمِعْتُمُوهُ قُلْتُم مَّا يَكُونُ لَنَا أَن نَّتَكَلَّمَ بِهَذَا سُبْحَانَكَ هَذَا بُهْتَانٌ عَظِيمٌ

তোমরা যখন কথা শুনলে তখন কেন বললে না যে, বিষয়ে কথা বলা আমাদের উচিত নয়। আল্লাহ তো পবিত্র, মহান। এটা তো এক গুরুতর অপবাদ। [সুরা নুর - ২৪:১৬]

يَعِظُكُمُ اللَّهُ أَن تَعُودُوا لِمِثْلِهِ أَبَدًا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ

আল্লাহ তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন, তোমরা যদি ঈমানদার হও, তবে কখনও পুনরায় ধরণের আচরণের পুনরাবৃত্তি করো না। [সুরা নুর - ২৪:১৭]

وَيُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمُ الْآيَاتِ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

আল্লাহ তোমাদের জন্যে কাজের কথা স্পষ্ট করে বর্ণনা করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। [সুরা নুর - ২৪:১৮]

إِنَّ الَّذِينَ يُحِبُّونَ أَن تَشِيعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِينَ آمَنُوا لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ

যারা পছন্দ করে যে, ঈমানদারদের মধ্যে ব্যভিচার প্রসার লাভ করুক, তাদের জন্যে ইহাকাল পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে। আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না। [সুরা নুর - ২৪:১৯]

وَلَوْلَا فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُ وَأَنَّ اللَّه رَؤُوفٌ رَحِيمٌ

যদি তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ দয়া না থাকত এবং আল্লাহ দয়ালু, মেহেরবান না হতেন, তবে কত কিছুই হয়ে যেত। [সুরা নুর - ২৪:২০]

মিসতাহ ইবনে উসামা:

দরিদ্র মিসতাহ ছিলেন হযরত আবু বকরের রা: খালাত ভাই। আবু বকর রা: সব সময় তার সাথে ভালো ব্যবহার ও আর্থিক সাহায্য করতেন। যখন তিনি ইফকএর ঘটনার সাথে মিসতাহর জড়িত থাকার কথা জানতে পারলেন এবং কুরআন তাদের প্রচারণাকে মিথ্যা অপবাদ হিসেবে ঘোষণা করলো তখন আবু বকর মিসতাহকে সাহায্য দান বন্ধ করে দিলেন। তিনি ঘোষণা করলেন, এখন থেকে আমি মিসতাহর জন্য এক কপর্দকও ব্যয় করবো না। তখন সূরা নূরের নিম্নোক্ত আয়াতটি নাযিল হয়:

وَلَا يَأْتَلِ أُوْلُوا الْفَضْلِ مِنكُمْ وَالسَّعَةِ أَن يُؤْتُوا أُوْلِي الْقُرْبَى وَالْمَسَاكِينَ وَالْمُهَاجِرِينَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلْيَعْفُوا وَلْيَصْفَحُوا أَلَا تُحِبُّونَ أَن يَغْفِرَ اللَّهُ لَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

তোমাদের মধ্যে যারা উচ্চমর্যাদা ও আর্থিক প্রাচুর্যের অধিকারী, তারা যেন কসম না খায় যে, তারা আত্নীয়-স্ব জনকে, অভাবগ্রস্তকে এবং আল্লাহর পথে হিজরতকারীদেরকে কিছুই দেবে না। তাদের ক্ষমা করা উচিত এবং দোষক্রটি উপেক্ষা করা উচিত। তোমরা কি কামনা কর না যে, আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম করুণাময়। [সুরা নুর - ২৪:২২]

এ আয়াতে আমাদের জন্য শিক্ষা

যদি কোন আত্মিয় স্বজন ক্ষতিও করে তবুও তার সাথে ভালো আচরণ করা। যেমন মিসতাহ যাকে হযরত আবু বরক সব সময় সাহায্য সহযোগিতা করতেন যখন তিনি আবু বকরের আদরের কন্যার ব্যপারে মিথ্যা অপবাদের ঘটনায় জড়িত হয়ে গেলেন তখন তার পরিবারকে সাহায্য করবে বলে শপথ করেন তখন আল্লাহ তায়ালা আয়াত না জিল করে বলেন আত্মিয়স্বজন ভুল করলে ক্ষমা করা উচিত এবং তাদেরকে সাহায্য না করার শপথ করা উচিত না। সুবহানাল্লাহ

সুতরাং আমাদের প্রসংগ ছিল আয়শা (রা) এর চোখের পানি পড়ার পরপর আল্লাহ তায়ালা আয়াত নাজিল করেছেন

আসহাবে সুফফার সাহাবীদের কান্নার ঘটনা

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন যখন এই আয়াত নাজিল হলো,

أَزِفَتْ الْآزِفَةُ

কেয়ামত নিকটে এসে গেছে। [সুরা নাজম - ৫৩:৫৭]

لَيْسَ لَهَا مِن دُونِ اللَّهِ كَاشِفَةٌ

আল্লাহ ব্যতীত কেউ একে প্রকাশ করতে সক্ষম নয়। [সুরা নাজম - ৫৩:৫৮]

أَفَمِنْ هَذَا الْحَدِيثِ تَعْجَبُونَ

তোমরা কি এই বিষয়ে আশ্চর্যবোধ করছ? [সুরা নাজম - ৫৩:৫৯]

وَتَضْحَكُونَ وَلَا تَبْكُونَ

এবং হাসছ-ক্রন্দ ন করছ না? [সুরা নাজম - ৫৩:৬০]

وَأَنتُمْ سَامِدُونَ

তোমরা ক্রীড়া-কৌত ুক করছ, [সুরা নাজম - ৫৩:৬১]

فَاسْجُدُوا لِلَّهِ وَاعْبُدُوا

অতএব আল্লাহকে সেজদা কর এবং তাঁর এবাদত কর। [সুরা নাজম - ৫৩:৬২]

 

তখন আসহাবে সুফফা বলল, আমরা আল্লাহর তরে এবং আল্লাহর কাছেই আমরা ফিরে যাবো। তারপর তারা এত কান্না করলেন যে, চোখের অশ্রুতে তাদের গণ্ডদেশ সিক্ত হয়েছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের কান্নার আওয়াজ শুনে কাঁদলেন। রাসুল (সা.)-এর কান্নার কারণে উপস্থিত সকলে কান্না করেছি। তারপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, যারা আল্লাহর ভয়ে কাঁদে তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে না 

# এ হাদীস থেকে বুঝা গেল আল্লাহর ভয়ে কাঁদলে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে

চোখের পানির ওজন কত?

একদিন জিবরিল () এসে হুজুর () এর কাছে আরজ করলেন এয়া রাসুলাল্লাহ আমরা ফেরেশতারা মানুষের সকল আমলসমুহ ওজন করি, কিন্তু আমরা মানুষের চোখের পানিকে ওজন করতে পারিনা নবী () প্রশ্ন করলেন কেন? তখন ফেরেশতা ফরমালেন আল্লাহ চোখের পানির জন্য এত বেশী প্রতিদান দান করেন যা মিজানে ওজন করা সম্ভব নয়

কোন ২ ফোটা কোন ২টি দাগ দামী?

وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَيْسَ شَيْءٌ أَحَبَّ إِلَى اللَّهِ مِنْ قَطْرَتَيْنِ وَأَثَرَيْنِ

আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর নিকট দুটি ফোঁটা এবং দুটি দাগের (চিহ্নের) চেয়ে পছন্দনীয় অন্য কিছুই নয়। 

 قَطْرَةِ دُمُوعٍ مِنْ خَشْيَةِ اللَّهِ وَقَطْرَةِ دَمٍ يُهْرَاقُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ

ফোঁটা দুটির একটি হলো আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনরত অশ্রুর ফোঁটা, অপরটি হলো আল্লাহর পথে প্রবাহিত রক্তের ফোঁটা।

وَأَمَّا الْأَثَرَانِ: فَأَثَرٌ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَأَثَرٌ فِي فَرِيضَةٍ مِنْ فَرَائِضِ اللَّهِ تَعَالَى

আর দাগ দুটির একটি আল্লাহর পথে (জিহাদে) আহত হওয়ার দাগ, অপরটি ফরয ইবাদাত সমূহের কোনো একটি আদায়ের দাগ।

কপালে দাগ হওয়ার বিধান কি?

সিজদার জায়গায় বা কপালে হাটুতে সিজদার কারনে দাগ হয়ে যাওয়াটা ভালো লক্ষণ এ ব্যপারে সুরা ফাতাহ এর ২৯ আয়াতেও আছে

سِيمَاهُمْ فِي وُجُوهِهِم مِّنْ أَثَرِ السُّجُودِ

তাদের মুখমন্ডলে রয়েছে সেজদার চিহ্ন ।  [সুরা ফাতাহ - ৪৮:২৯]

#তবে এ দাগ যদি ইচ্ছাকৃত নিজে নিজে তৈরী করে যাতে মানুষকে নিজের নামাজি হওয়ার ব্যপারে প্রকাশ করতে পারে তা অপছন্দনীয়

 

চোখের পানি দামী হওয়ার আরো ১টি কারন  হল

আল্লাহর নুরানি ফেরেশতারা গুনাহও করেনা এবং গুনাহের জন্য তারা লজ্জিত হয়ে কান্নাও করেনা, পক্ষান্তরে মানব জাতি গুনাহ করে আর গুনাহ করার পর সে যখন লজ্জিত হয়ে কান্না করে সেটা আল্লাহর কাছে বেশী পছন্দনীয় কারন এই তওবার কন্না নাদামাতের কান্না ফেরেশতাদের মাঝে নাই তাই আল্লাহর কাছে তওবার কান্না গুনাহ করে লজ্জিত হয়ে কান্নার এত দাম

ফেরেশতারা ২ বার কেঁদেছে!

তবে ফেরেশতারা যদিও গুনাহের তওবার কারনে কাঁদেনা তবে আসমানের সকল ফেরেশতা ২ বার কান্নার ঘটনা আছে একবার কেঁদেছে ইবরাহিম () যখন ইসমাইলকে জবেহ করছিল তখন ২য় বার যখন হুজুর () কে তায়েফের ময়দানে কাফেরেরা পাথর মারতে মারতে রক্তাক্ত করে দিয়েছিল তখন

১ ফোটা চোখের পানি ও ১ বালতি পানি

আমাদের জামা ময়লা হলে ১টি জামা ধুতে হলে ১ বালতি পানি লাগে পক্ষান্তরে আপনি ৮০ বছর যাবৎ গুনাহ করেছেন আর ১ ফোটা পানি যা চোখের কোনায় জমে আছে চোখের বাহিরেও বের হয়নি এই এক ফোটা চোখের পানির বদৌলতে আল্লাহ তায়ালা বান্দার ৮০ বছরের গুনাহের ময়লা ধুয়ে সাফ করে দিবেন

দুনিয়াতে কাঁদ নাহয় আখেরাতে কাঁদতে হবে

যারা দুনিয়ার গুনাহর জন্য কাঁদে না তাদেরকে আখেরাতে কাঁদতে হবে, ইবনে মাজার ৪৩২৪ নং হাদিস

তাঁরা কাদতে কাদতে চোখের পানি শেষ হয়ে যাবে তারপর চোখ দিয়ে রক্তাশ্রু বের হতে থাকবে আল আমান আল হাফিজ

কবর দেখে নবীও কাঁদতে ওসমানও কাঁদতেন

বারাবিন আযেব (রাঃ) বলেন, একদা আমরা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলাম। হঠাৎ তিনি একদল লোক দেখতে পেয়ে বললেন, কী ব্যাপারে ওরা জমায়েত হয়েছে? কেউ বলল, একজনের কবর খোঁড়ার জন্য জমায়েত হয়েছে। একথা শুনে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘাবড়ে উঠলেন। তিনি তড়িঘড়ি সঙ্গীদের ত্যাগ করে কবরের নিকট পৌঁছে হাঁটু গেড়ে বসে গেলেন। তিনি কি করছেন তা দেখার জন্য আমি তাঁর সামনে খাড়া হলাম। দেখলাম, তিনি কাঁদছেন। পরিশেষে তিনি এত কাঁদলেন যে, তার চোখের পানিতে মাটি পর্যন্ত ভিজে গেল। অতঃপর তিনি আমাদের দিকে মুখ তুলে বললেন, হে আমার ভাই সকল! এমন দিনের জন্য তোমরা প্রস্তুতি নাও। (ইবনে মাজা ৪১৯৫

 

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দুনিয়াতেই কেঁদে কেঁদে গুনাহ সমুহ মাফ করানো আল্লাহ রাজি করে মৃত্যু বরণ করার তৌফিক দান করুন আমিন

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল https://www.youtube.com/@Allahwalamedia https://www.youtube.com/@Allbangladua https://www.youtube.com/@Jaalhaq আমাদের ফেসবুক পেজ

আমাদের ফেসবুক গ্রুপ

ইনস্টাগ্রাম https://www.instagram.com/jaalhaq.bd/ আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন

https://12monthkhutba.blogspot.com 

1 টি মন্তব্য:

ULTRA_GENERIC থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.